এন্টার্কটিকায় ছিল উন্নত কোন সভ্যতা?
সম্প্রতি দক্ষিণ মেরুর শীতলতম মহাদেশ এন্টার্কটিকায় একটি দুর্গ-সদৃশ স্থাপনার অবয়ব দেখা গেছে। ৪০০ ফুট চওড়া এই স্থাপনাটি অনেকটা মধ্যযুগে নির্মিত সুরক্ষিত কোন কেল্লার মত। স্যাটেলাইট থেকে বিশাল স্থাপনাটির ধ্বংসাবশেষের চিত্র স্পষ্ট দেখা যায় বলে দাবী করছেন অনেকে। ফলে আবারো প্রশ্ন উঠেছে, এই বরফের রাজ্যে প্রাচীনকালে কি কোন উন্নত সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল?
যদি এন্টার্কটিকায় কোন প্রাচীন সভ্যতার অস্তিত্বের প্রমান মেলে, তবে এযাবৎকাল পর্যন্ত চলে আসা ধারণার আমুল পরিবর্তন ঘটবে। যে আবহাওয়ায় মানুষের বেঁচে থাকা সম্ভব নয় বলে, প্রচলিত ধারনা বিদ্যমান আছে, তা পুরোপুরি বদলে যাবে। তবে প্রাকৃতিকভাবেই দুর্গের মতন দেখতে এই অবয়বটি গড়ে উঠেছে- এমন মতও প্রকাশ করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
এন্টার্কটিকায় প্রাচীন কোন সভ্যতা ছিল কি ছিল না- এ নিয়ে কয়েকশো বছর আগে থেকেই বিতর্ক চলে আসছে। ১৫১৩ সালে তুরস্কের নাবিক পিরি রেইস একটি মানচিত্র আঁকেন, যেটাতে এন্টার্কটিকার সুস্পষ্ট উল্লেখ ছিল। যদিও তখনো আমেরিকা বা অস্ত্রেলিয়া কোনটাই আবিষ্কৃত হয়নি। ১৮১৮ সালে এন্টার্কটিকাকে মহাদেশ হিসেবে দাপ্তরিক ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ১৮৯৫ সালে নরওয়ের একটি গবেষক দল প্রথম সফলভাবে সেখানে পৌঁছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধাপক অশোকা ত্রিপাঠি বলেন, ‘ছবিগুলো স্পষ্টভাবেই মনুষ্যনির্মিত কোন স্থাপনার ইঙ্গিত বহন করে। স্থাপনাটি পিরামিড আকৃতির, এবং প্রাচীন প্রকৌশলবিদ্যার প্রতিনিধিত্ব করে। আসলে ২ কিমি. পুরু বরফের স্তরের নিচে আসলে কি লুকিয়ে আছে তা এখনি বলা মুশকিল’।
বর্তমানে এন্টার্কটিকার মালিকানা কোন নির্দিষ্ট দেশের হাতে নেই। ১৯৫৯ সালে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির মাধ্যমে সেখানে সব ধরণের সামরিক কর্মকাণ্ড এবং খনিজ সম্পদ খনন নিষিদ্ধ রয়েছে। বিভিন্ন দেশের ৪০০০ বিজ্ঞানী এন্টার্কটিকায় নানা ধরণের গবেষণায় নিয়োজিত আছেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল